মস্তিস্কে নিরবিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের জন্য গ্লুকোজ অত্যন্ত জরুরী। শারীরিক ও মানসিক উভয় কর্মকান্ডে আমরা সর্বদা যে এটিপি (এডিনোসিন-ট্রাই-ফসফেট) ব্যবহার করি তা মুলত গ্লুকোজ মেটাবোলিজমের মাধ্যমেই আসে। গ্লুকোজ ঘাটতি ক্লান্তি, মাথাধরা, কম স্মরণ করার প্রবনতা--- সহ বহু জটিলতার কারন।
দুধ বা দুধ-জাতীয় খাবার সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, নরফ্লোক্সাসিন নামক এন্টিবায়োটিকের বায়োএভেইলেবিলিটি কমিয়ে দেয়। দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এর জন্য দায়ী বলা হয়ে থাকে। এজন্য এসকল এন্টিবায়োটিক দুধ খাওয়ার ২ ঘন্টা আগে বা ২ ঘন্টা পরে খাওয়া উচিৎ, যাতে ক্যালসিয়ামের সাথে কোন ইন্টারেকশন করার সুযোগ না থাকে। পারকিনসন রোগী যাদেরকে লেভোডোপা পেসক্রাইব করা হয়ে থাকে তাদের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক না।
ওভার দি কাউন্টার পেইনকিলার যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন, আইবুপ্রোফেন, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে, কিন্তু এগুলো কি চিন্তা বা আবেগের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? ভবিষ্যতে কি পেইনকিলার রোগীর মানসিক ট্রিটমেন্ট ও দুঃখের স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি না!
ভিটামিন-সি (অপর নাম এসকরবিক এসিড) যা প্রতিদিনকার অনেক খাবারই পাওয়া যায়। এটি একটি বহুল পরিচিত এন্টি-অক্সিডেন্ট যা উচ্চমাত্রায় প্রো-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। যে কারণে এটিকে শুধু প্রটেক্টিভ হিসেবেই নয়, বরং ব্যবহার করা হয় সহায়ক অথবা সরাসরি কোষ ধ্বংসের কাজেও। বিশেষ করে এন্টি-ক্যান্সার ঔষধ হিসেবে।
ধনুষ্টাংকার থেকে বাঁচতে টিটেনাস ভ্যাকসিন দেয়া জরুরী। প্রত্যেক শীশুকেই তার বয়সের ২ মাস থেকে ৪/৬ বছরের মধ্যে ৫ টি ভ্যাকসিন শট (Vaccine shot) দেয়া হয়। এটাকে বলা হয় প্রাইমারি ভ্যাকসিন সিরিজ। ১১/১২ বছর বয়সে প্রথম বুস্টার শট টিটেনাস ভ্যাকসিন দেয়া হয়। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মা'দেরও একটি বুস্টার শট টিটেনাস দেয়া হয়। এরপর প্রতি দশ বছর অন্তর অন্তর টিটেনাস বুস্টার শট দিতে হয়।
সিজোফ্রেনিয়া মূলত মস্তিষ্ক বিকৃতির রোগ। এই রোগে মানুষের চিন্তা করার পদ্ধতি, তার কাজ কারবার, ইমোশন প্রকাশের ভঙ্গিমা, অন্যের সাথে সম্পর্ক সবই বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তার সব চিন্তা ভাবনাগুলো বাস্তবতা বিবর্জিত হয়। তাঁর পাঁচটি সেন্সের সবগুলোই ভেঙ্গে পড়ে।
কথায় কথায় ওভার-দি-কাউন্টার ব্যাথানাশক যেমন- এসপিরিন, ন্যাপ্রোক্সেন এবং আইবুপ্রোফেনের মত ঔষধ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন নিয়মিত এই ঔষধগুলো খাওয়া ঠিক নয়। কোকেইন, হিরোয়িন এবং এমফেটামিন কিডনি অকেজো করে দেয়।
হরমোনের পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে নারীর মানসিক পরিবর্তন সমূহকে মূলত কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় যেমন, পিউবার্টি, পিরিয়ডকালীন সময়, প্রেগন্যান্সি, প্রি-মেনোপোজ বা মেনোপোজ, মেনোপোজ পরবর্তী সময়। একজন নারীকে প্রতিটা মাসেই অনেক চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে, কিন্তু পুরোপুরি আশাহত না হয়ে বারবার মনে রাখা জরুরী যে, বসন্ত তো সামনেই।
পুরুষের প্রোস্ট্রেট গ্ল্যান্ডের ফুলায় (Benign Prostatic Hyperplasia-BPH) বহুল ব্যবহৃত ঔষধের মধ্যে একটি হল টামসুলোসিন। টামসুলোসিন প্রোস্ট্রেট গ্রন্থিকে সংকোচিত না করে, বরং প্রোস্ট্রেট গ্রন্থি ও মূত্রথলির মাংসপেশীকে রিল্যাক্স করে দেয়। টামসুলোসিন ঔষধের মধ্যে রয়েছে Maxrin, Mictrol, Prostacin, Sasolin, Tamlosin, Urinom, Uroflo, Urolosin, Uromax, Uropass, Urosin ইত্যাদি।
ঠাণ্ডা পানি পানে রক্ত ক্ষরণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, কারণ ঠান্ডা পানি শুধু অনুচক্রিয়ার স্বাভাবিক কার্যকারিতায়-ই নয় বরং ঠান্ডা পানি রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দরকারি বেশকিছু পাচকের কার্মকান্ডেও বাধা সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে রক্ত জমাট বাধায় ব্যাঘাত ঘটায়। তাছাড়া দাঁতে ক্র্যাক, গাম ডিজিস ও এনামেল ক্ষয়ের কারণে ঠাণ্ডা পানি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি।