বাংলাদেশের কিছু মানুষ কেন পশ্চিমবঙ্গকে ‘বাংলার ন্যায্য ওনারশিপের অংশ থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছেন ? তারা এখনো প্রদেশ রয়ে গেছে, রাষ্ট্র গঠন করতে পারে নাই, এই জন্য? অথবা, তারা লোকাল সাম্রাজ্যবাদ ভারতের অংশ, এই কারণে? পুরো ভূখণ্ড নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত হলেই কেবল তার নাম 'বাংলাদেশ' হতে পারে।
নজরুলের ভাষার বিপ্লব ফররুখে থামে নাই। আল মাহমুদে আইসা, তা পুরা বাংলাদেশের দিকে উন্মুখ হইয়া রইছে। ধর্ম কিলান তার প্রভাব সাহিত্যে বিস্তার করতেছে, তা দেখার মতনই ব্যাপার! আল মাহমুদ, ফররুখ, আর নজরুলের ভিত্রে যে তেজী ভাষা, তা ঠাকুর, দাশ বা উৎপলে নাই।
পপুলার লোকদেরে ঘিন্নানি আমরার সারভাইভাল ইন্সটিংক্ট হইছে। পপুলার লোক কোথাও খুঁইজা না পাইলে, ঘিন্নাই ঘিন্নাই তারে পপুলার বানানিরও দরকার পড়তেছে। আমরার পাবলিক সাইকোলজি হইল ঘিন্নার। এরে ডিল করা ইন্টেলেকচুয়ালদের প্রাইম রেসপন্সিবিলিটি হওয়া দরকার। প্ন, হেলদি সেক্স, সামাজিক সম্পর্ক - এইগুলার অবনতি আমরারে ঘিন্নাবাদী করি তোলে? আপনে ঘিন্নাবাদী লাইফস্টাইল নিবেন কি না, তা আপনার নিজেরই চয়েস। ভাইবা দেখেন।
মশিউল আলমের উপন্যাসের প্রধান প্রবণতা হলো প্রতিদিনের তুচ্ছযাপনকে মহাজীবন করে তোলার কৃতিত্ব। তার উপন্যাসের জগৎ মানেই আরো দূর অন্ধকারের এক বিদর্ভ নগরে পাঠকের প্রবেশ। দৈনন্দিন জীবনকে তিনি ভেলকি ছাড়াই পৌঁছে দেন অধিবিদ্যার গূঢ়তায়।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির এইসব মর্ম বুঝতে পারা বাংলাদেশের বামনরাজনীতির পক্ষে দুষ্কর। আমাদের বামপন্থীদের এক অংশ আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করতে গিয়ে বিএনপি হয়েছে। আরেক অংশ স্বাধীনতাবিরোধী রুখতে আওয়ামী লীগার বনেছে। আর যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি এড়াতে সক্ষম হলো, তারা বাঙালি মুসলমান সমাজের চৈতন্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের রাজনৈতিক সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছে।
সেক্যুলাররা আমরার শিক্ষারে এমন কইরা সাজাইছেন, যেখানে ছাত্রদের কাম করবার/কাম শিখবার অপশন নাই। তারা খালি পড়ব। আর মাস্টাররা খালি পড়াইব। ফলে, পড়ালেখা করা ছেলেটার বিয়া করবার হালত তইয়ার হয় না, এমনকি আঠাইশ-তিরিশ বইচ্ছর বয়সেও। সেক্যুলার এডুকেশনে একটা ছেলের অনার্স পাশ করতে তার বয়স হয় তেইশ - চব্বিশ। ছেলেটার ভিত্রে সেক্সুয়াল ডিজায়ার তইয়ার হয় চৌদ্দ-পনেরো বইচ্ছর বয়সে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মতান্ধতা ও গতানুগতিকতা। কেউ পড়ে আছেন মার্ক্স লেনিন নিয়ে, কেউ আছেন মাও সেতুং নিয়ে, কেউ জাতীয়তাবাদকে ধ্রুব জ্ঞান করছেন, কেউ বলছেন সমাজতন্ত্রই মুক্তির শেষ কথা, কেউ গণতন্ত্রে পেতেছেন অন্তিম শয্যা।
‘রোমান্টিক পরিবেশবাদী’ হবার আগ্রহ আমাদের নাই। আমাদের আগ্রহ বরং এই জমিনে মানুষ ও সমস্ত প্রাণের সমাজ-প্রতিবেশে হকের সুরক্ষা। খুবই ব্যক্তিগতভাবে আমার বাসনা হচ্ছে সমাজের নিবিড়ে নিবেদিত এমন একজন লেখক এবং কমুনিকেটর হবার, যদি বেঁচে থাকি তবে পেছনে তাকিয়ে যেন বলতে পারি যে, ওহ বয়! ইট ফিলস লাইক আ ডে।
কিছুদিন আগে হলিউডের একটা সিনেমায় অভিনয় করার জন্যে আমার ডাক পরে। চরিত্রটি ছিল একজন মুসলমানের ভুমিকায় নেগেটিভ রোল করতে হবে যেখানে মুসলমানটি ছিলেন একজন টেররিষ্ট। তখন আমি তাদের বললাম যে মুসলমান মানেই কি টেররিষ্ট? মুসলমানদের এভাবে চিহিৃত করার কারণ কি?
আধুনিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে অনেক লেখকই হয়ে উঠছেন বাজার উপযোগী উৎপাদক। দেবেশ রায় এটিকে ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছেন যেখানে সবকিছুই উপস্থাপিত হয় বিজ্ঞাপনের ভাষায়। প্রায় সবগুলো কাগজই একেকটি নতুন শ্লোগান নিয়ে হাজির হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু একটির সাথে আরেকটির প্রায় কোনো তফাৎ পরিলক্ষিত হয় না।