কর্নারের একাকী একটি টেবিলে বসে থাকি চুপচাপ। চেয়ে চেয়ে দেখি- কতশত মানুষ আসছে যাচ্ছে, কথা বলছে, খাচ্ছে। কেউ উঁচু স্বরে কথা বলছে, কেউবা চুপিচুপি। সকলের কতশত কথা যেন জমে আছে। সেসব ঢেলে দিচ্ছে পরস্পরের কাছে। কেউ চুমু খাচ্ছে, কেউ রাগ করছে, কেউবা প্রয়োজনীয় কিছু কিনেই দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে কফি শপ থেকে। চারপাশে কে কী বলছে, কোথায় যাচ্ছে, কেন ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, কেনইবা রাগ করে আছে, সবকিছু লিখতে চাই, ওই দূরের আলোকিত ক্রিসমাস ট্রি , ওর সঙ্গেও কথা হচ্ছে আমার।
নানান কারণেই থিওরেটিকাল ও ক্রিটিকাল মনোবিজ্ঞানীরা ভিটগেন্সটাইনের ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্র বিশেষে সৃষ্ট, দার্শনিক কাজের বিভিন্ন দিকরে, ক্ষেত্র নির্বিশেষে অধিকার করার চেষ্টা করে।
কদিন আগে গিয়েছিলাম রুজ হিল বিচে। এই ছোট্ট সৈকতটি আমার বাড়ি থেকে মাত্র সাড়ে ছয় কিলোমিটার পুবে। উত্তর থেকে বয়ে আসা রুজ নদীর ধারা নিয়ে অন্টারিও লেকে সমর্পিত এই জলস্রোত অঞ্চলটি, ধীরে ধীরে প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এখনো তেমন ভিড়ভাট্টা তৈরি হয়নি। এর একটি কারণ হতে পারে এটি মূল শহর থেকে অনেকটা পুবে বলেই হয়তো।
বেশ কয়েক বছর পর মাত্র কয়েকদিনের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম, গ্রীষ্মকালে। অনুভব করলাম, চারদিক টগবগ করে ফুটছে। প্রকৃতি, জীবন, বাজার, রাজনীতি সব। এয়ারপোর্ট থেকে শহরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বুঝে যাই যানজট কত প্রকার ও কী কী এবং তা কতটা ভয়াবহ রূপে গ্রাস করছে ঢাকা শহরের সবকিছু! আগেও বুঝেছি, এবার আবারও নতুন করে বুঝলাম। হাজার হাজার মানুষ থই থই করছে চারদিকে। তার সাথে অগুনতি যানবাহন। পথ আটকে পথেই বসে আছে সব কিছু।
আমারেতো দারোয়ান দাঁড় কইরা রাখছে ২০ মিনিট ধইরা। ভিতরে ঢুকতে দিতাছে না। দারোয়ানকে বললাম তিন মাস আগে জয়েন করেছি এখনও পত্রিকার আইডি কার্ড পাই নাই। এদিকে মফস্বল ডেস্কের কেউ ফোন ধরতাছে না। কি নাজেহাল অবস্থা রে ভাই। আফসোস করে বললেন, ‘রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রিপোর্ট করি অথচ নিজের হেড অফিসে ঢুকতেই এই অবস্থা।’ ভিতরে ঢুকেও একপ্রকার অপমান বোধ করলেন এ মফস্বল সাংবাদিক।
মানুষ এতটাই কৃত্রিম জীবন যাপন করে অভ্যস্থ যে প্রাকৃতিক জীবন যাপনে ফিরে যাওয়ার জন্যও একটি উদ্দ্যেশ’র প্রয়োজন হয়। আর সেটা হলো প্রাকৃতিকভাবে বাঁচতে হবে। মানুষের জন্য এটা একটা দুর্ভাগ্য। কেননা সে স্বকেন্দ্রচ্যুত হয়ে কৃত্রিম জীবন-যাপনে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে।
এক পরীক্ষায় গবেষকেরা দেখেন যে, মানসিক রোগী যারা হিংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে জড়িত তাদের বেশীরভাগ ই মৌখিক অভিব্যক্তি যেমন- ভয়, কান্না, দুঃখ ইত্যাদি বুঝতে অক্ষম। এতে প্রমাণিত হয় যে, কেন তারা এই ধরনের কর্মকান্ডের পর অনুশোচনায় ভোগে না!
বিংশ শতাব্দীর দিকে অলিয়াস ফ্রসেস এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্টার রোডনি তার বই ‘হাউ ইউরোপ আন্ডার ডেভেলপড আফ্রিকা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘উপনৈবেশিক দেশগুলোকে একটি মজবুত মনস্তাত্বিক বন্ধনে এমন ভাবে আবদ্ধ করতে হবে যদি কোনো সংগঠনরূপেও তাদের প্রগতিশীল বন্ধনমুক্তি ঘটে তারা যেন তাদের ভাষায় এবং চিন্তায় ফরাসীই থেকে যায়।’
পৃথিবীর সবচাইতে স্বাস্থ্যবান জনগোষ্ঠী হল হুনজা (Hunza) সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা কখনো ক্যান্সারের নামও শোনেনি! হয় না কোন অসুখও। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় তারা বাঁচে গড়ে ১২০ বছর। ৬৫ বছর বয়সেও নারীরা সন্তান প্রসব করতে পারে।
ভিন্ন ভিন্ন দেশের ওষুধ গবেষকদের করা গবেষনায় প্রায় দেড় শতাধিক পরীক্ষায় জানা গেছে যে এর রয়েছে- এন্টিওক্সিডেন্ট; প্রদাহরোধী; অণুজীব-নাশক (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস); ক্রিমিনাশক; ইম্যুনো-, হৃদপিণ্ড-, যকৃৎ-, মস্তিষ্ক-, পাকস্থলী-, ফুসফুস- ও কিডনি প্রতিরক্ষা; খুশকি-নাশক; চুল-পড়া রোধী; চুলের বৃদ্ধি সহায়ক; এক্টি-ডিপ্রেসেন্ট; এঞ্জিওলাইটিক; ক্যান্সার-রোধী; এন্টি-টেরাটোজেনিক; এন্টি-ডায়াবেটিস (হাইপার-গ্লাইসেমিক), উচ্চরক্তচাপ ও মেদ কমানোর সক্ষমতা সহ বহুবিদ গুণাবলী।