এন গ্রিসওল্ড টিং, কানের বিবাহিত স্ত্রী নন। এজন্য সন্তান গর্ভে ধারণ করে সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে লুই কানের সাথে সাত বছরের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখার পর টিং এক শরতে রোমের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন, ১৯৫৩ সালে। টিং-এর ইতালিতে থাকা দিনগুলিতে কান প্রায় প্রতি সপ্তাহে তাঁকে চিঠি লিখতেন। এখানেই তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এই এক বছরে পাঠানো ৫৩টি চিঠি’র, ৫ টি চিঠি এখানে অনূদিত হলো।
মরণকে যত কাছের কেউ ভেবে দিনরাত আমরা ভয়ে ডুবে থাকি, আদতে সে বোধহয় অতটা কাছে থাকে না। আমরা তাই এক জীবনে অনেক বার মরতে মরতে বেঁচে উঠি। মাঘমাস থেকে শুরু করে পরের আষাঢ়- আমি বারবার অমন মরে যেতে লাগলাম। আমাকে ঘিরে কান্নার রোল পড়ে গেল প্রত্যেকবার। প্রতিবার বেঁচে উঠি আবার মরে যাওয়ার ভয় বুকে নিয়ে।
সর্বশেষ একদল ভূত শ্রমিকদের ভাড়া করা হয়েছিল গারো পাহাড়ের নাফাক গ্রামে। চুক্তি অনুযায়ী ভূত শ্রমিকরা দলবল নিয়ে পাহাড়ে ধান রোপন করছিল। সারা সকাল কাজ করে ভূত শ্রমিকরা যখন তাদের দুপুরের খাবার শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিল, ঠিক তখন ভূতরা যে জমিতে ধানরোপন করছিল সেই জমির মালিকের দুষ্ট ছেলে সেই জায়গাটিতে এসে হাজির হলো। চারপাশে থুথু দিচ্ছিলো এবং ইচ্ছে মত হাতের বর্শা দিয়ে নানাদিকে আঘাত করছিল।
লেখক এবং ইলাস্ট্রেটর ড. সিউসের কাছে প্রায় ৩০০ টির মত টুপির কালেকশন ছিল। যখন তিনি রাইটার্স ব্লকে পড়তেন তিনি চুপি চুপি তার গোপন আলমারি খুলতেন, যেখানে অনেকগুলো টুপি সাজানো থাকতো। তিনি একটি টুপি নিয়ে অনবরত কয়েকদিন পড়তে থাকতেন। যেদিন তিনি ব্লক কাটিয়ে আবার ইন্সপায়ার্ড ফিল করতেন ওইদিন ওই টুপি খুলতেন। মূলত এভাবেই তিনি ‘টুপির ভিত্রে বিলাই’ এর মতন দারুণ সব বাচ্চাদের বই লিখতে পেরেছিলেন !
তো এন, খুব ভালো সময় কাটাও আর কোনরকম টাকা পয়সার সমস্যা হলে আমাকে জানিও। প্রতি চিঠির সাথেই আমি তোমাকে একটা করে বিল পাঠাবো তাতে করে তোমার ডলার জমবে আর আমি জানি টাকা পয়সার মামলায় তুমি কতটা বিচক্ষণ। আমার পাখিটা, এবারে যে আমায় উঠতে হয়। খুব শীঘ্রই আবার লিখতে বসবো।
রাম কুমার ১৯২৪ সালে সিমলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাম কুমার ইন্ডিয়ার অন্যতম মর্ডানিস্টদের মধ্যে একজন। ১৯৪৬ সালে রাম কুমার দিল্লীর সেন্ট স্টেপেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি পেইন্টিং নিয়ে পড়াশুনা করতে প্যারিস যান। তিনি ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল ৯৪ বছর বয়সে মারা যান।
দাদী বসে আছে প্রায় নির্জন এক উঠানে। একটা লাল রঙের হাতলওয়ালা চেয়ার রাখা দুই হাত। পরনে মেটে রঙের সুতি শাড়ি। মাথা থেকে খসে যাওয়া ঘোমটা পড়ে আছে ঘাড়ের উপর। সবগুলো চুল শুভ্র সাদা। আশেপাশের মসজিদগুলো থেকে আজান ভেসে আসছে। ঘরে ওঠার কথা ভুলে মুরগির তিন চারটা ছোট্ট বাচ্চা তখনও শব্দ তুলে এলোমেলো ঘুরছে তার সামনে।
লুইস বুর্জোয়া গোটা বিশ শতকই বেঁচে ছিলেন, এবং ২০১০ সালে তিনি যখন বর্ণাঢ্য ৯৮ বছর বাঁচার পর চলে যাচ্ছিলেন, তখন তাবত আর্টিস্টের অনুপ্রেরণা এবং চেতনায় নাড়া দেয়ার জন্যে দারুণ সব শিল্পকর্ম এবং লেখা-জোখা রেখে গেছেন। লুইস বুর্জোয়াকে পাঠ মূলত তার জীবনেরই পাঠ, সেগুনো তাঁর সুক্ষ্ণ অটোবায়োগ্রাফিও।
খ্যাপাটে লোক নানা প্রকারের হয়, কিন্তু শক্তির মত জীবন নিয়ে খ্যাপামো কজন করেছেন? একবার নাকি বাজারের থলে হাতে নিয়ে বাজার করতে বেরিয়েছেন। স্ত্রীকে বলেছেন, বাজার করে ফিরছি। এরপর এর সাথে, ওর সাথে কথা বলতে বলতে তিনি না কি চলে যান ভূটান। কি আশ্চর্য! এমনই ছিলেন শক্তি।
যোগ একই সঙ্গে মৃত্যু এবং একটি নতুন জীবনের সূচনা। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমার ভিতরে পুরোনো বিশ্বাস, প্রথা, ধ্যান ধারনার পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন কিছু জন্ম নিতে পারছে না। তুমি একটি বীজ মাত্র। আর এই বীজ মাটিতে রোপণ করতে হবে, তা না হলে নতুন চারা গজাবে না। তাই যোগ একই সঙ্গে মৃত্যু এবং একটি নতুন জীবনের সূচনা।