বিয়ে থেকে ফেরার পথে তুমুল বৃষ্টি শুরু হল। ছইয়ের মধ্যে আর কত লোক ধরে? বেশির ভাগ বরযাত্রি ভিজে কাক! ভরা যমুনায় বৃষ্টি একেবারেই ভিন্ন রকম। জলের বুকে জলের ধারা- তবু গান বাজছে। তবু মানুষ হাসছে, গাল-গল্প করছে। এই ভেজা উৎসবের গন্ধ অন্য রকম, এর আবেশও বেশ কড়া- দোলনচাঁপা, গন্ধরাজ বা কেয়া ফুলের গন্ধ যেমন ভিজে ভিজে গাঢ় হয়, অনেক বেশি দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ে!
অব্যয় কলিং বেল টেপে। ভেতরে কি বাবু কেঁদে উঠলো? বাচ্চাটা একটু শব্দ হলেই আৎকে ওঠে। বাপের মতই আতঙ্কে কাটছে না কি তার? চার মাসের বাচ্চা কি আর বুঝবে- নগর জুড়ে কি এক অশুভ ছায়া ধেয়ে আসছে? মিশরে ফারাওদের সঙ্গে কি এমনটাই হয়েছিল? রক্তস্রোতে ভেসে যাচ্ছিল নীলনদ, ছটফট করে মারা যাচ্ছিল নদীর মাছ, ডাঙার সব পশুপাখি, পোকাড় আক্রমনে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ক্ষেতের ফসল?
রনিতার ঘুম ভাঙল জানালায় নেটের ওপারে পাখির কিচির মিচির আর আযানের শব্দে। নরম নিঃসঙ্গ ভোর হচ্ছে। জেগে উঠতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। অদ্ভুত এক দম আটকানো স্বপ্ন দেখছিল। রনিতা খুব স্পিডে একটা মোটরবাইক চালাচ্ছে। রাস্তা যেন শেষই হয় না। কাঁধের ওপর থেকে একটা লম্বা উলের মাফলার গলা পেঁচিয়ে বাইকের চাকায় জড়িয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই গলার কাছ থেকে মাফলারটা সরাতে পারছে না।
'ডুবজলে', 'জলাঞ্জলি' আর 'নামগন্ধ' ---- এই ট্রিলজিতে মলয় এক-গোছের চাকরির জিগির এনেছেন, সেটা হল, টাটকা আর পচা নোট আলাদা করা, একশোটা নোটের প্যাকেট তৈরি করা, এভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যেন, 'অর্থনীতির স্নাতক হবার এই-ই পরিণাম।
আমার মায়ের এই স্কুলই একসময় আমার স্কুল হবে। এইখানকার নির্মাণাধীন একতলা দালান ততদিনে দ্বিতল। বকুল আর মেহগনিগুলি তখন একেকটা বিশাল বৃক্ষ। বৃদ্ধ বটগাছ আরও বৃদ্ধ হবে। বটগাছের প্রায় মরে যাওয়া ছায়ায় সাত বছর পরে আমি আবার এসে দাঁড়াবো। তখনও এই রকম সকাল এগারোটা। ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক- সবাই ক্লাসে ঢুকে গেছেন।
যেইদিন পায়ের উপর পাহাড় ভেঙ্গে পড়ে, শ্যামলী আক্তারের বারবার মনে হচ্ছিল এখুনি বুঝি রুস্তম এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে । তারপর সময় যায়, রুস্তম আর আসে না । পায়ের রক্ত ক্ষরণে দুর্বল শ্যামলী আক্তার ভ্যাপসা গরম আর ধুলাবালির মধ্যেই দুইবার ঘুমিয়ে পড়েছিল । ঘুমিয়ে পড়েছিলো নাকি অজ্ঞান হয়েছিল এখন আর মনে পড়ে না ।
মকবুল ফিদা হুসাইন সেই ছোট বেলা থেকেই হিন্দু মিথোলজির সাথে পরিচিত ছিলেন। মহাভারতের উপাখ্যান তাঁর কাজে আনার আগে তিনি বিভিন্ন পন্ডিতের মূখ থেকে শোনা এবং বিভিন্ন পুঁথি থেকে পড়া তথ্যগুলো আরো গভীরভাবে পাঠ-উপলব্ধির মাধ্যমে ঝালাই করে নিয়েছিলেন।
আমার বইটা মূলত কোন সাহিত্যিক এক্সপিরিয়েন্স থেকে লেখা নয়। এটা মুলত আমার এইদেশের কালচারাল...আর্টিস্টিক এক্সপিরিয়েন্স থেকে লেখা। বাস্তবতার কঠিন জিনিসগুলা একিবারে হাসি ঠাট্টার মধ্য দিয়ে দেখা-ই ‘‘সেলিমের দুঃখের কাহিনী’’র মুল জায়গা ছিল।... এবং বইটা নিঃসন্দেহে একটা কালচারাল শক। সিরিয়াস একাডেমিকসরা এটা পড়ে ভীষণ অপমানিত হয়েছেন।
যোগ বিষয়ক একজন পন্ডিত হতে পারবে।যোগের উপর বিস্তর আলোচনা পর্যালোচনা করতে পারবে। বুদ্ধির মাধ্যমে তোমার মন যোগ সম্পর্কে জানতে পারবে। কিন্তু যোগ অনুশাসন ছাড়া কিছুই নয়। যোগ কোনো শাস্ত্র নয়। এটা এমন এক বিষয় যা জানার মধ্যে দিয়ে পাওয়া যাবে না। অনুশাসনের মধ্য দিয়ে পেতে হবে। অর্জন করতে হবে। অনুশাসন কি? যা তোমার মধ্যে একটি ছন্দ তৈরি করবে।
তুরস্কের এই পরিচালকের জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, আজতক নির্মাণ করেছেন কুল্যে ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরই মধ্যে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পুরস্কার, বিবেচিত হচ্ছেন বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান মৌলিক চলচ্চিত্রকারদের একজন হিসেবে। নূরির পরিচালিত দ্য স্মল টাউন (কাসাবা), ক্লাউডস অব মে, উজাক, ক্লাইমেট এই চারটাকে তাঁর আত্মজৈবনিক চলচ্চিত্র বলা যায়।